"মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা"- এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে পহেলা বৈশাখ ও বাংলা শুভ নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপন করেছে মুক্তি কক্সবাজার।
০১ বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা (১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ইং), সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কতৃর্ক আয়োজিত বৈশাখী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে মুক্তি কক্সবাজার এর বাংলা নতুনবর্ষ বরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
শোভাযাত্রা শেষে, সকাল ৯:০০ ঘটিকায় নগরীর গোলদীঘির পাড়ে অবস্থিত সংস্থার প্রধান কার্যালয় "মুক্তি ভবন"- এ সকলস্তরের দেড় শতাধিক কর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পান্তা-ইলিশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর, সকাল ১০:০০ ঘটিকায় সংস্থার প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা এবং বাঙালির সংস্কৃতি ও দেশপ্রেমের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে থাকা গান, কবিতা, এবং নৃত্য পরিবেশনসহকারে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমবেতকণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও "এসো হে বৈশাখ এসো এসো"- গানটির মাধ্যমে শুরু হয়ে আনন্দঘন বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি দুপুর ৩:০০ ঘটিকায় সমাপ্ত হয়।
বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মুক্তি কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকার, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য জনাব এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, "অসত্য ও অসুন্দর কে দূরে ঠেলে সত্য ও সুন্দর কে গ্রহণ করার মাঝেই সকলের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।" অনুষ্ঠানের সভাপতি, মুক্তি কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকার, নতুনত্ব ও তারুণ্যের বার্তাবাহক হিসেবে "এসো হে বৈশাখ এসো এসো" গানটির তাৎপর্য বিশ্লেষণপূর্বক তাঁর বক্তব্যে বলেন, "সত্যই সুন্দর, তাই সকল অবস্থায় সত্য বলার চর্চা করতে হবে। কায়োমনোবাক্যে সত্য ও সুন্দর কে যারা ধারণ করে, কেবল তাদের দ্বারাই মানব কল্যাণ সাধিত হতে পারে।"
এছাড়াও, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ পরিষদ সদস্য ও নির্বাহী কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব রতন দাশ, পরিচালক-এইচআর এ্যান্ড এডমিন জনাব সুজিত কুমার ভৌমিক, অ্যাডুলোসেন্ট এ্যান্ড ইয়ুথ প্রকল্পের প্রকল্প-ব্যবস্থাপক সারওয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ জুনায়েদ চৌধুরী, জনাব অলক কান্তি শর্মা, শিক্ষা প্রকল্প, DFAT AHP প্রকল্পের জনাব ফয়সাল বারী, এবং জিবিভিআইই প্রকল্পের বেবী ভট্টাচার্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তি কক্সবাজার এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী জনাব সুজিত চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক জেবুন্ নেছা, পরিচালক- ইন্টারনাল অডিট জনাব আবদুস সামাদ আজাদ, পরিচালক- মনিটরিং এ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন জনাব মো: খাইরুল ইসলাম এবং মুক্তি কক্সবাজার এর সকল পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ।
প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা পুরস্কার প্রদান করে সফল আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সকলের জন্য শুভেচ্ছা কামনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সফল পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।