মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত এফডিএমএন শিক্ষা প্রকল্প, ৫ থেকে ১৩ মে ২০২৫ ইং পর্যন্ত কক্সবাজার অবস্থিত ০৭টি রোহিঙ্গা কাম্পের (ক্যাম্প-১ই, ১ডব্লিউ, ২ই, ২ডব্লিউ, ০৩, ০৯ এবং ১৭) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার্থীদের শিখন-মূল্যায়ন পরিচালনা করে।
দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ এবং অষ্টম শ্রেণীর মোট ২,৫৬৬ জন শিক্ষার্থী এই মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে। এই শিখন-মূল্যায়নটি অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ (ACER) ও এর জাতীয় অংশীদার, অ্যাসোসিয়েটস ফর ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (ADSL) এর কারিগরি সহযোগিতায় ইউনিসেফ কর্তৃক পরিচালিত হয়। এই মূল্যায়ন কার্যক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অগ্রগতি পরিমাপ করা এবং শিখন-প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এমনসব কারণ চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে প্রকল্পের কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করা।
দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য, প্রতিটি সেক্টর থেকে দৈব-চয়ন পদ্ধতিতে শিখন-কেন্দ্র নির্বাচন করা হয় এবং প্রতিটি নমুনা কেন্দ্র থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অন্যদিকে, ষষ্ঠ এবং অষ্টম শ্রেণীর মূল্যায়ন-কার্যক্রমে সকল শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূল্যায়নকৃত বিষয়গুলো ছিল বার্মিজ ভাষা, ইংরেজি এবং গণিত।
মোট ২,৫৭০ জন শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই মূল্যায়ন-কার্যক্রমে ২,৫৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। ক্যাম্প-ইন-চার্জ (সিআইসি), সহকারী ক্যাম্প-ইন-চার্জ (এসিআইসি), ইউনিসেফ, কক্সবাজার শিক্ষা সেক্টর এবং মুক্তি কক্সবাজারের কর্মকর্তারা মূল্যায়নকৃত কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেন এবং সু-সমন্বিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এই শিখন-মূল্যায়ন হতে প্রাপ্ত ফলাফল শিক্ষা-নীতিমালার উন্নয়নে এবং সার্বিকভাবে রোহিঙ্গা সাড়াদানে আরও কার্যকর কৌশল প্রনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।