২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি: তারিখে অক্সফ্যাম এর অর্থায়নে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন Strengthening capacity and increased food security of Rohingya and Host Community through climate adaptive technology (SLFS) প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালি ইউনিয়নের ২০৪ জন উপকারভোগীর মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব যারিন তাসনিম তাসিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ গফুর উদ্দিন চৌধুরী ।
স্বাগত বক্তব্যে মুক্তি কক্সবাজারের SLFS প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার এমদাদুল হক খোকন উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, উপকারভোগী এবং প্রকল্পের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “মুক্তি কক্সবাজার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কক্সবাজার জেলার সকল উপজেলায় দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর অধিকার সুরক্ষা, মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নানা ধরণের মানবিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছে।” এরই ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্পের আওতায় পালংখালি ইউনিয়ন—এ ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের ২০৪ জন উপকারভোগীর প্রত্যেককে মুলি বাঁশ ১০ পিস, বোরাক বাঁশ ১ পিস, নাইলন রশি ১ কেজি, পানির ঝর্না ১ পিস, বাগানের বেড়ার জন্য জাল ১ পিস, পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ১ পিস, হলুদ ফাঁদ ৪ পিস, ভার্মি কম্পোস্ট ১৫ কেজি এবং পাটের বস্তা ৪ পিস বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সর্বমোট ৩৭৫ জন উপকারভোগী এ সমস্ত কৃষি উপকরণ গ্রহণ করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব যারীন তাসনিম তাসিন মুক্তি কক্সবাজার ও দাতা সংস্থা অক্সফ্যাম কে ধন্যবাদ জানিয়ে উপকারভোগীদের বলেন, “অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন এবং তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই বাছাই করে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আপনাদের নির্বাচন করা হয়ছে যাতে করে আপনারা প্রয়োজনীয় উপকরণ এর মাধ্যমে শাক-সবজি চাষ করে নিজেদের পুষ্টিগত চাহিদা ও জীবিকায়নে প্রভাব ফেলতে পারেন।” তিনি মুক্তি কক্সবাজার ও অক্সফ্যামকে জলবায়ু সহনশীল কৃষিপ্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং পরবর্তীতে উপজেলায় যেহেতু আরো দরিদ্র পরিবার রয়েছে তাদের জন্য প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ গফুর উদ্দিন বলেন, মুক্তি কক্সবাজার অত্যন্ত স্বচ্ছতা এবং আন্তরিকতার সাথে সুদীর্ঘ সময়ব্যাপী পালংখালি ইউনিয়নের দরিদ্র্য মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তাই তিনি মুক্তি কক্সবাজারসহ দাতা সংস্থাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে পালংখালি ইউনিয়ন এর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এবং প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান কার্যালয়ের লজিস্টিক বিভাগের কর্মকর্তা সুমন সিংহ ও ছোটন শর্মা সরাসরি উপস্থিত থেকে প্রত্যেকটি উপকরণের গুণগতমান ও পরিমাণ নিশ্চিত করে বিতরণকাজ সম্পন্ন করেন। বিতরণকেন্দ্রে উপকারভোগী নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক লাইন, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপকরণ বিতরণসহ পোর্টারের ব্যবস্থা ছিলো। এছাড়াও, উপকারভোগীদের মতামত, অভিযোগ ও তথ্য প্রদানের জন্য তথ্যডেস্ক ও হটলাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়।