২৬ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক ৫৫ তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে গোলদীঘির পাড়ে অবস্থিত সংস্থার প্রধান কার্যালয় “মুক্তি ভবন”-এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শতাধিক কর্মীর অংশগ্রহণে র্যালী ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়াও, সকাল ৯:০০ ঘটিকা হতে প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জনাব সোমেশ্বর চক্রবর্তী; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য, সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস; সাধারণ পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব রতন দাশ; এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শরমিন সিদ্দীকা লিমা। উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকার।
সম্মানিত অতিথিগণ স্বাধীনতার ৫৫তম দিবস পালন উপলক্ষে, তাদের বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা দিবসকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এবং “পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর দিন” বলে আখ্যায়িত করেন। আলোচনায় বক্তারা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ সনের অপারেশন সার্চলাইট, ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ, বীরাঙ্গনা, মুক্তিযোদ্ধা এবং ২৪ এর জুলাই-আগস্টের আহত ও শহীদদের আত্মত্যাগ অবনত চিত্তে স্মরণ করেন। সকল ক্ষেত্রে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে উপস্থাপন করতে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানান। সর্বোপরি, স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে পৌছে দিতে হলে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করা ছাড়া যে অন্য কোনো বিকল্প নেই তা উল্লেখ্য করেন। শোষণ এবং বঞ্চনা মুক্ত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি-মুক্ত, সমন্বিত ও টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং সংস্থার নির্বাহী প্রধান জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকার, ২০২৪ এর জুলাই গনঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন যে, মুক্তি কক্সবাজার প্রতিষ্ঠার মূলনীতিতে বৈষম্যহীন, নিরাপদ, কুসংস্কারমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং মর্যাদাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা ইতিমধ্যে লিপিবদ্ধ আছে। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই সংস্থা মানুষকে বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনা হতে মুক্তির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সফল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অবদান রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।” তিনি সকল পর্যায়ের কর্মীদের সততা, জবাবদিহিতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে স্বাধীনতার সুফল অন্যদের কাছেও পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব ছিলো দেশাত্ববোধক গান ও কবিতা দিয়ে সাজানো, যা উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও প্রেরণা জাগ্রত করে। সবশেষে, প্রধান নির্বাহী মহোদয় অনুষ্ঠান সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এবং সংস্থার সকল পর্যায়ের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক- এইচআর এ্যান্ড এডমিন, জনাব সুজিত কুমার ভৌমিক।