২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে, মুক্তি কক্সবাজারের বার্ষিক কর্মী সমাবেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশটিকে শুধু এক দিনের অনুষ্ঠান বলে সংজ্ঞায়িত করলে ভুল হবে, ব্যাপ্তিতে এটি ছিলো একটি উৎসব যা শুরু হয় কবিতা চত্ত্বর সংলগ্ন সৈকতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এবং শেষ হয় সংস্থার প্রধান কার্যালয় মুক্তি ভবনের সম্মেলন কক্ষে মোহনীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাফেল ড্র ,পুরস্কার বিতরণী ও বারবিকিউ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং উৎসবমুখর এই অনুষ্ঠানে সংস্থার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাধারণ পরিষদ সদস্যসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মীবৃন্দ এবং প্রকল্প থেকে আগত অতিথিবৃন্দ গান, কবিতা আবৃত্তি, কৌতুক ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী জনাব বিমল চন্দ্র দে সরকারের পরিচালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উন্নয়ন এবং সাফল্যের সাক্ষী, অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অ্যাডভোকেট জনাব সুজিত চোধুরী; প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জনাব সোমেশ্বর চক্রবর্তী; সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট আইনজীবী জনাব শিবু লাল দেবদাস; কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি, অধ্যাপক জেবুন নেছা; কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক শরমিন সিদ্দীকা লিমা; কার্যকরী পরিষদের সদস্য জনাব বাবলা পাল ও অ্যাডভোকেট সুরঞ্জিত পাল; সাধারণ পরিষদের সদস্য অধ্যাপক জনাব অজিত কুমার দাশ, এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনাব রতন দাশ ।
কবিতা চত্বরের পাশে শান্ত পরিবেশে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পরবর্তীতে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো সকলের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। এ বছর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনাব রতন দাশ এবং উপদেষ্টা এডভোকেট জনাব শিবু লাল দেবদাস। বিশেষ আকর্ষণ ছিল অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তী কর্তৃক মনোঃমুগ্ধকর রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনা এবং এডভোকেট শিবু লাল দেবদাস ও অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ কর্তৃক কবিতা আবৃত্তি। প্রধান নির্বাহী মহোদয় সম্মানিত অতিথিবৃন্দ এবং অনুষ্ঠানটি সফলভাবে আয়োজনের নেপথ্যে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
রাফেল ড্র এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত কর্মী সমাবেশটি সমাপ্ত হয়। মুক্তি কক্সবাজারের বার্ষিক কর্মী সমাবেশ কেবল একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি সংস্থার সফলতার স্মারক এবং ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। এই সমাবেশটি কর্মসংস্থান তৈরি করার পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল ও উৎসাহ বৃদ্ধিতে মুক্তি কক্সবাজারের আন্তরিকতার প্রমাণ।