২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৩:০০ ঘটিকায়, ভাসানচরে “ভাসানচর রোহিঙ্গা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫” এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাসানচরের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (RRRC) কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ইউএনএফপিএ’র (UNFPA) সহযোগিতায় মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক রোমাঞ্চকর এই ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হয় ।
এই ফাইনাল খেলায় আল-হেলাল এফসি, রোহিঙ্গা ইউনাইটেড এফসি দলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। উক্ত টুর্নামেন্টে মোট ১৪টি দল অংশগ্রহণ করে, যা প্রতিযোগিতাকে আরো উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ARRRC) জনাব মাহফুজার রহমান, যিনি খেলা উপভোগ করার পাশাপাশি বিজয়ী ও রানার আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি টুর্নামেন্টটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য মুক্তি কক্সবাজার ও দাতাসংস্থাসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প-ইন-চার্জ, সহকারি ক্যাম্প-ইন-চার্জ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, এপিবিএন, বাংলাদেশ আনসার, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ। ভাসানচরের সিংহভাগ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এই ফুটবল ম্যাচটি আনন্দ এবং উৎসবের আমেজে উপভোগ করেন, এতে এটা প্রমাণিত হয় ভাসানচরের বাসিন্দাদের মধ্যে ফুটবলের প্রতি কতো গভীর আগ্রহ রয়েছে।
মুক্তি কক্সবাজারের আয়োজনে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রধান লক্ষ্য ছিলো ভাসানচরের যুব সমাজকে ক্ষতিকর মোবাইল গেমসের আসক্তি থেকে রক্ষা করা এবং শান্তিপূর্ণ ও নির্মল বিনোদনের বিকল্প সুযোগ তৈরি করে দেয়া। যুবকদের মাঝে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে এবং তাদেরকে আরও সুস্থ ও সক্রিয় জীবনের দিকে পরিচালিত করার জন্য এই ধরনের খেলাধুলার আয়োজন অপরিহার্য।
ভাসানচরে এধরনের বৃহৎ ফুটবল প্রতিযোগিতার এটি দ্বিতীয় আসর। ২০২৩ সালেও একই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিলো এবং তখনও সফল আয়োজক হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছে মুক্তি কক্সবাজার। ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশে ফুটবলের মতো জনপ্রিয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয় এবং তাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।
“ভাসানচর রোহিঙ্গা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫” এর সফল আয়োজন নিঃসন্দেহে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং আরও বড় পরিসরে এরকম আয়োজনের অনুপ্রেরণা জোগাবে। অনুষ্ঠান শেষে, অ্যাডলোসেন্ট এন্ড ইয়ুথ প্রকল্পের স্পোর্টস ইন্সট্রাক্টরসহ অন্যান্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজন করেছেন তাদের সকলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয়।